বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক দূত ড. চন্দন বাঙ্গালের সাফল্য
।।
১.
সবাই জানেন আমি কবিতার বাঁক বদলে কাজ করছি।কবিতার উপমা,উৎপ্রেক্ষা ও চিত্রকল্পে বিজ্ঞানের চর্চা দ্বারা আমি প্রবর্তন করি বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের।
আমাদের মূল লক্ষ্য পাঠকদের বিজ্ঞানমনস্ক করা।আমি মনে করি,কবিতায় বিজ্ঞান চর্চা হলে বিজ্ঞান জনপ্রিয়তা পাবে।জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নত জীবনযাপন করতে হলে আমাদেরকে বিজ্ঞানকেই অনুসরণ করতে হবে।যাকে অনুসরণ করা যায় তাকে বলা হয় আদর্শ।চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে ফলিত বিজ্ঞানের অনুসরণ। আমার বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলন দেশে-বিদেশে এখন সুপরিচিত।এনিয়ে বেশ কিছু বই-পুস্তকও আমি লিখেছি।জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্ট্যাডিজে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বঙ্গবিদ্যা সম্মেলনে আমি ২০১৫ খৃষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর “বিজ্ঞান যুগে বিজ্ঞান কবিতা” শীর্ষক থিয়োরি উপস্থাপন করেছি।এটা বিজ্ঞান কবিতার প্রচারে বেশ কাজ দেয়।বিশ্বব্যাপী সংবাদ প্রচারিত হবার পর উত্তর আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের ‘ইভেন্ট হরাইজন’ ম্যাগাজিন এ মাসেই ৫০০ ডলারের বিজ্ঞান কবিতার প্রতিযোগিতার আহবান করে।একইভাবে আমেরিকার কবিতার মাসে ২০১৮ খৃষ্টাব্দের ২ এপ্রিল নিউজ উইকের অনলাইন সংখ্যাকে বিজ্ঞান কবিতার সংখ্যা হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
এভাবেই আমার বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায় এবং গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে।
২.
বিজ্ঞান কবিতার আন্দোলন আধুনিকউত্তর সময়ে এবং উত্তর ঔপনিবেশিক আদলে বিজ্ঞান যুগের উপযোগী এবং নির্ধারিত তত্ত্বসমৃদ্ধ।যা পাশ্চাত্য সাহিত্যরীতি ও তত্ত্বীয় দিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্ববহ এবং যথাযত।
কিছু সংখ্যক কবিরা এখনো উত্তরআধুনিক কাব্যের নামে পশ্চাৎপদ ভাবনায় কবিতা লেখেন কিন্তু বিজ্ঞান কাব্যের বিষয়ে তারা কথা বলেন না।অথচ তাদের অনেককেই বই-পুস্তক পৌঁছানো হয়েছে।তাদেরও বিজ্ঞান কবিতার বিষয়ে এই নীরবতা পালন ও ভুল তত্ত্বে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ানোকে আমি এটা তাদের একধরনের স্বেচ্ছাকৃত ভুল বলে মনে করি।এই স্বেচ্ছাচারিতার জন্য একসময় তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।আমরাই একসময় প্রশ্ন তুলবো,সাহিত্যে বৈচিত্রহীন ও চিরাচরিত ধারায় কবিতা লিখে তারা কোন অধিকারে নেতৃত্ব ধরে রেখেছেন।
বাংলা সাহিত্য তাদের দ্বারা কি পেয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি ?
৩.
এবার আসল কথায় আসি।দেশে-বিদেশে বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটার ফলে এ আন্দোলনে একজন আন্তর্জাতিক মানের দূত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত এবং পাণ্ডিত্যে সমৃদ্ধ একজন তরুণ, প্রচলিত কবিতার বিষয়ে যার মধ্যে থাকবে প্রচন্ড অনীহা।যিনি কার্যত কবিতার বাঁকবদলে কাজ করতে চান-এমন মেধাবী মুখ খোঁজে পাওয়া ছিল আমাদের লক্ষ্য।এটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়ায় আমাদের নিকট।এক সময় পেয়ে যাই বহুগুণে গুণান্বিত এমন একজন তরুণ অধ্যাপক যার বাড়ি পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে।নাম তার ড.চন্দন বাঙ্গাল।অত্যন্ত অল্প বয়সে কবিতার উপর যিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন।অধ্যাপনা করছেন একটি সরকারি কলেজে।পশ্চিম বঙ্গের সাহিত্য সংস্কৃতিতে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত।কবিতা ছাড়াও ভাষা,নাটক,গল্প,উপন্যাস,লোকসংস্কৃতি,পুরাতত্ত্ব,নৃতত্ত্ব ইত্যাদিতেও তার দখল রয়েছে।সম্পাদনা করছেন ভিস পত্রিকা।তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা তখন ছিল ১ ডজনেরও বেশি।এরই মধ্যে অসংখ্য সাক্ষাৎকার ও প্রতিবেদন পশ্চিম বঙ্গের প্রথম সারির কাগজে ছাপা হয়েছে।স্মিত এ যুবক ভালোবাসেন পড়াশোনা,গবেষণা ও রান্না করতে।আমরা তাকে মনোনীত করি আগামী দিনের বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে।
৪.
যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে।বইপুস্তক পাঠানো হয় এবং নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয়।এক সময় আমার উপস্থাপিত বিজ্ঞানবাদ,বিজ্ঞানবাদের কাব্যতত্ত্ব,বিজ্ঞানশিল্পতত্ত্ব,বিজ্ঞানসাহিত্যতত্ত্ব এবং সাবলীল ছন্দ তার মনোযোগ কাড়ে।সম্মত হোন বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক দূত হতে।তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় শুরু করেন লেখালেখি।শুরু করেন বিজ্ঞান কবিতার অনুষ্ঠান।তার উদ্যোগে আমন্ত্রণ আসতে থাকে আমার।শেষ পর্যন্ত আমরাও যোগ দিতে শুরু করি।কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং ভিস পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যার জমিদার বাড়িতে গ্রামালোক অনুষ্ঠানে আমাদের উপস্থিতি বিজ্ঞান কবিতার আন্দোলনকে আরেক ধাপ এগিয়ে দেয়।আমার সঙ্গে গ্রামালোক অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন কবি ও সাংবাদিক লোকমান হোসেন পলা এবং কবি রবিউল ইসলাম খান।তিনি (ড.চন্দন) বিজ্ঞান কবিতার প্রবর্তক হিসেবে আমার লেখা বিভিন্ন বইপুস্তক প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়েছেন।
প্রমাণিত হয় যে,তাকে আন্তর্জাতিক দূত নিয়োগ যথার্থই হয়েছে।তিনি এর আগেও পরিবার সহ বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং শিগগির আবারো বাংলাদেশে আসছেন।
Leave a Reply